ক্রুশে মৃত্যুতে কয়েক দিন লাগে

পীলাতের কাছে যখন যীশুর তথাকথিত মৃত্যু-সংবাদ পৌঁছুলো, তখন তিনি এটা শুনে বিস্মিত হলেন যে, যীশু এত তাড়াতাড়ি মারা গেল (মার্ক ১৫:৪৪)। তার সাক্ষ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং দৃষ্টিগ্রাহ্য। সেখানে তিনিই ছিলেন সেই ব্যক্তি যিনি সম্ভবত সেই যুগে অনেক বেশি জ্ঞান রাখতেন ক্রুশে বিদ্ধ করে শাস্তি প্রদান সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে এবং এ ধরনের ক্রুশে মৃত্যুদণ্ডের বাস্তবায়নের কাজ তিনি বহুবার পালন করেছেন।

রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে যদিও ক্রুশে বিদ্ধকরণের বহু খুঁটিনাটি তথ্য হারিয়ে গেছে, তারপরও পর্যাপ্ত রেকর্ড রয়েছে যেগুলো থেকে দেখা যায় এই বিশেষ শাস্তিটিতে অন্তত দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত সময় লাগতো কোনো ব্যক্তিকে হত্যা করতে। যেমন, ভালো রকম সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে, ঐতিহাসিক ফ্লেবিয়াস জোসেফাস-এর কাছ থেকে, যিনি ক্রুশ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বর্ণনা করেন। লেখক প্লুটার্ক (৭৫ খ্রিস্টাব্দ) কোনো কোনো ব্যক্তি ক্রুশে চড়ানোর পর প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকার কথা উল্লেখ করেন।

ক্রুশে বিদ্ধকরণের ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর ভিত্তিতে, দ্য নিউ বাইবেল ডিকশনারিও উপসংহারে পৌঁছে যে, “এই পদ্ধতিতে মৃত্যু সাধারণত, বেশ দীর্ঘায়িত ও বিলম্বিত হতো, ৩৬ ঘণ্টার আগে কদাচিৎ এতে হস্তক্ষেপ করা হতো এবং কখনও কখনও এতে নয় দিন পর্যন্তও দীর্ঘ সময় লাগতো।” (1962 ed, Intervarsity Press, Page 282)