যীশুর সবচেয়ে বড় নিদর্শন

যীশু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, যোনা (ইউনুস) নবীর মতোই ঘটনা তার ভাগ্যেও ঘটবে।

যীশু বলেন:

“এই কালের দুষ্ট ও ব্যভিচারী লোকে চিহ্নের অন্বেষণ করে; কিন্তু, যোনা ভাববাদীর চিহ্ন ছাড়া আর কোনো চিহ্ন ইহাদিগকে দেওয়া যাইবে না। কারণ, যোনা যেমন তিন দিবারাত্র বৃহৎ মৎস্যের উদরে ছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্রও তিন দিবারাত্র পৃথিবীর গর্ভে থাকিবেন।” (মথি ১২:৩৯-৪০)

মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া - পুনরুজ্জীবন নয়

যোনার চিহ্ন সম্পর্কে বাইবেলে বলা হয়েছে:

“আর সদাপ্রভু যোনাকে গ্রাস করণার্থে একটা বৃহৎ মৎস্য নিরূপণ করিয়া ছিলেন; সেই মৎস্যের উদরে যোনা তিন দিন ও তিন রাত্রি যাপন করিলেন। তখন যোনা ঐ মৎস্যের উদরে থাকিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর নিকটে প্রার্থনা করিলেন। তিনি কহিলেন, আমি সঙ্কট প্রযুক্ত সদাপ্রভুকে ডাকিলাম, আর তিনি আমাকে উত্তর দিলেন; আমি পাতালের উদর হইতে আর্তনাদ করিলাম, তুমি আমার রব [আর্ত চিৎকার] শ্রবণ করিলে।” (যোনা ১:১৭, ২:১-২)

নীনবীদের জন্য যোনার দ্বারা যে চিহ্ন/নিদর্শন প্রদান করা হয়েছিল তা ছিল, তিনি নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। তিনি একটি বড় মাছের পেটে জীবিত অবস্থায় চলে গিয়েছিলেন এবং সেখানে কয়েক দিন জীবিত ছিলেন এবং জীবিত অবস্থায় সেখান থেকে বের হয়েছিলেন।

একই অদৃষ্টের কথা যীশুর জন্য ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল। তিনি জীবিত অবস্থায় কবরে/সমাধিতে প্রবেশ করবেন, সেখানে কয়েক দিন জীবিত থাকবেন এবং জীবিত অবস্থায় সেখান থেকে বের হয়ে আসবেন। তখন যদি যীশু মারা গিয়ে থাকতেন, সেক্ষেত্রে তার সঙ্গে যোনার খুব সামান্যই সাদৃশ্য (মসীহ হিন্দুস্তান মে – ১ম অধ্যায়) থাকতো।

যোনার ঘটনা ছিল রক্ষা পাওয়ার ঘটনা - পুনরুজ্জীবন লাভের ঘটনা নয়।