বনী ইসরাঈলের মেষ

ভৌগোলিক দিক থেকে যীশুর মিশন সীমিত/সীমাবদ্ধ ছিল বনী ইসরাঈলীয়রা যেখানে বসবাস করতেন সেসব স্থানে। এমনকি যীশুও বলেছেন, “ইস্রায়েল-কুলের হারান মেষ ছাড়া আর কাহারও নিকটে আমি প্রেরিত হই নাই।” (মথি ১৫:২৪)

ইসরাঈলীয়রা তওরাত অনুসরণ করতো। আর, যীশু এসেছিলেন তওরাতের সত্যিকারে শিক্ষা বনী ইসরাঈলীয়দের হৃদয়ে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এবং যে-কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি দূরীকরণের জন্য। তিনি মূসার একজন অনুসরণকারী ছিলেন এবং মূসায়ী শরীয়তের মাঝে কোনো পরিবর্তন আনেন নি কিংবা কোনো কিছু বাতিলও করেন নি। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, যীশুর আগমন হয়েছে শুধুমাত্রা বিধানের পরিপূর্ণতার জন্য, বিধান বাতিল করার জন্য নয়। (মথি ৫:১৭)

আফগানিস্তানে হারানো গোত্রগুলো

ইসরায়েলের ১২টি গোত্রের মধ্যে মাত্র দুটি গোত্র তাদের জন্মভূমিতে ছিল। বাকি ১০টি গোত্র আর কখনই নিজ দেশে ফিরে না আসায় বনী ইসরাঈলের হারানো গোত্র বা হারানো মেষ হিসেবে পরিচিত হলো। এই গোত্রগুলোর বেশিরভাগই আফগানিস্তান, উত্তর ভারতে এবং এমনকি চীনের মতো দূরবর্তী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। তাই, যীশুর জন্য এটি অত্যাবশ্যক ছিল, এসব এলাকায় ভ্রমণ করা এবং এই গোত্রগুলোর মাঝে কাজ করা।

বর্তমানে, যথেষ্ট পরিমাণে সাক্ষ্য-প্রমাণ থেকে দেখা যাচ্ছে যে, আফগানিস্তানের ও ভারতের এবং এসবের আশেপাশের এলাকার কতিপয় জনগোষ্ঠী আসলে ইসরায়েলীয়দের বংশোদ্ভূত। এর ভিত্তি তাদের লিখিত এবং মৌখিক ইতিহাস ও প্রথাসমূহ, দৈহিক অবয়ব, ভাষা, লোকগাঁথা, ভাস্কর্য এবং রীতি-নীতিসমূহ। তাদের মধ্যে অনেকেই নিজেদেরকে “বনী ইসরাঈল” বা “ইসরায়েলের সন্তান” হিসেবে দাবি করে থাকে।