লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুসম্পন্ন

হারানো গোত্রগুলো যে অঞ্চলে বসবাস করছিল, সে-সব স্থানে যীশু গৃহীত হলেন। পূর্বাঞ্চলে ভ্রমণের মাধ্যমে তিনি তার মিশন সুসম্পন্ন করলেন; যেখানে সুপ্রাচীন ইসরায়েলীয় জনগোষ্ঠীগুলো ছিল। একটি আপত্তি হলো, যীশু যদি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় ভারতেই কাটিয়ে থাকেন তাহলে তার জীবনের সেই অংশটি কেন এত অজানা এবং বিস্মৃতির অন্তরালে?

কোনো ধর্মের উপস্থিতিতে অপর কোনো ধর্ম যখন প্রাবল্য লাভ করে তখন কী ঘটে, সেটা মনে রাখতে হবে। যেমন, বর্তমান কালের আফগানিস্তান একসময়ে বৌদ্ধ ধর্মের অনেক বড় কেন্দ্রস্থল ছিল। সেখানে পাথরে খোদিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কয়েকটি বুদ্ধ-মূর্তি ছিল। সেই ধর্ম-বিশ্বাস এখন সেখান থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরও একটি উদাহরণ হলো, ইউরোপে খ্রিস্টধর্ম পৌঁছানোর আগে সেখানকার পৌত্তলিক ধর্মগুলোর অবস্থা।

আফগানিস্তান ও কাশ্মীরের ইসরায়েলীয় জনগোষ্ঠীগুলো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। যীশু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তার পরে একজন বার্তাবাহক আসবেন, যাকে সুসমাচারগুলোতে প্যারাক্লিত বলা হয়েছে। এই ভবিষ্যদ্বাণীটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সত্তায় পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।

কালের পরিক্রমায় পুরনো খ্রিস্টধর্ম কয়েক প্রজন্মের ব্যবধানে সেখানকার মানুষ ভুলে যায়। এর ফলে বর্তমানে সেখানে, সেই একই এলাকায়, মূলত “গোড়া মুসলমানগণ” আছে, যারা অন্যান্য “গোড়া মুসলমানদের” মতোই ধর্ম-বিশ্বাস পোষণ করে থাকে।

তবে, যীশু খ্রিস্টের অনুসারীদের অবশিষ্টাংশ এখনও আছে আফগানিস্তানের হিরাতের আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে। বৃটিশ পণ্ডিত ও.এম. বার্ক তার “Among the Dervishes” পুস্তকে এসব লোকদের বিষয়ে বর্ণনা করেছেন। যদিও তারা এখন মুসলমান, তথাপি তারা তাদের খ্রিস্টান উত্তরাধিকার ভুলে যায় নি। যীশুর প্রতি তাদের বিশেষ একটি ভক্তি ও অনুরাগ আছে। তারা যীশুকে “কাশ্মীরি ইউজ আসফ” বলে অভিহিত করে থাকে, যিনি তাদের মাঝে প্রচারকার্য চালানোর জন্য এসেছিলেন।