মারাত্মক আঘাত থেকে রক্ষা

ক্রুশে যীশুর তথাকথিত মৃত্যুর পর একজন রোমান সৈনিক সিদ্ধান্ত নেন যে, ক্রুশে বিদ্ধ যীশুর পায়ের অস্থি ভঙ্গ করবে না। এই ঘটনার মাধ্যমে একটি ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয় এবং এটি অর্থহীন (ঘটনা) ছিল না। যোহনের সুসমাচার (১৯:৩৬) আমাদেরকে জানাচ্ছে যে, ধর্মগ্রন্থের ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণ হয়েছিল (গীতসংহিতা ৩৪:২০ এর ওপর ভিত্তি করে) - তার একটি অস্থিও ভগ্ন হবে না। সেই রোমান সৈনিক ভেবেছিল যীশু ইতোমধ্যে মারা গেছে। তাই, তার মৃত্যুকে ত্বরাম্বিত করার জন্য যীশুর পায়ের অস্থি সে ভাঙ্গে নি। পায়ের অস্থি ভঙ্গ করা হলে তা ভয়ানক রূপ ধারণ করতো। কারণ, এই তীব্র আঘাতের ফলে রক্তক্ষরণ হতো, যা শারীরিক অবস্থাকে আরও সঙ্গীন করতো এবং শরীরের অন্যতম বৃহত্তম অস্থি, দু’পায়ের টিবিয়া, ভঙ্গের ফলে হাইপোভলেমিক শক হতো।

ধর্মগ্রন্থে দু’পায়ের অস্থি ভঙ্গ না করার বিষয়টি শুধুমাত্র তখনই অর্থবহ হতে পারে, যখন শরীর জীবিত ছিল - মৃতদেহের জন্য এটি অর্থহীন বিষয়। গীতসংহিতার ৩৪:১৯ ও ২০ শ্লোক এই ধারণাকে শক্তিশালী করে: “ধার্মিকের বিপদ অনেক, কিন্তু সেই সকল হইতে সদাপ্রভু তাহাকে উদ্ধার করেন। তিনি তাহার অস্থি সকল রক্ষা করেন; তাহার মধ্যে একখানিও ভগ্ন হয় না।”