ঘৃতকুমারী ও গন্ধরস

ক্রুশে ঝোলানোর পর যীশুর দেহ তার শিষ্য আরিমাথিয়ার যোসেফ এবং নীকদীমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যোহনের সুসমাচারে বর্ণিত হয়েছে, নীকদীম ‘প্রায় ৭৫ পাউন্ড (৩০ কেজি)’ গন্ধরস ও ঘৃতকুমারী নিয়ে এসেছিলেন (যোহন ১৯:৩৯)। এসব ভেষজ উদ্ভিদ, বিশেষত, ঘৃতকুমারী ঔষধী হিসেবে ব্যবহৃত হয় ক্ষত নিরাময়ের ক্ষেত্রে। বিভিন্ন প্রাচীন সমাজে এর বহুল ব্যবহার দেখা যায় এবং কাঁচা ক্ষত উপশমের জন্য এটি আজও ব্যবহৃত হয়। রোমান চিকিৎসক পেডানিয়াস ডাইওসক্রোরিডিস (খ্রীস্টপূর্ব ৭৫ সাল) আঘাত ও ত্বকের ক্ষতের নিরাময়ে ঘৃতকুমারী ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। আলেকজান্দার দ্য গ্রেটের গুরু অ্যারিস্টোটল তাকে রাজি করেন সোকট্রা দ্বীপ দখল করার জন্য যেন সেখান থেকে সৈনিকদের ক্ষতের চিকিৎসার জন্য ঘৃতকুমারী উদ্ভিদ সংগ্রহ করা যায়।

চমকপ্রদ বিষয় এই যে, মধ্যযুগের কাছাকাছি সময়ের প্রাচ্যের চিকিৎসা শাস্ত্রের ধ্রুপদী পাঠ্য-পুস্তক ইবনে সীনার ক্যানন অফ মেডিসিন-এ একটি মলমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যার নাম ‘মরহমে ঈসা’ (ঈসার মলম)।