মরিয়ম - আল্লাহ্‌র এক পূত-পবিত্র বান্দা

পবিত্র কুরআন হযরত ঈসা (আ.)-এর বিনা-পিতায় জন্মগ্রহণের বিষয়টির সত্যায়ন করে এবং এটি এই ধারণারও খণ্ডন করে যে, হযরত মরিয়ম অসতী ছিলেন এবং অবৈধ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। ফিরিশতার সাথে হযরত মরিয়মের কথোপকথন বর্ণিত হয়েছে আল কুরআনে: “কীরূপে আমার পুত্র হবে যেক্ষেত্রে কোনো পুরুষই আমাকে স্পর্শ করে নি এবং আমি ব্যভিচারিণীও নই?” (মারইয়াম-১৯:২১ আয়াত) অধিকন্তু, তাঁর ধার্মিকতার কারণে পবিত্র কুরআনের ১৯তম সূরার নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামে, এবং সকল ধার্মিক মুসলমানকে তাঁর সদৃশ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

একটি অত্যন্ত বিরল ও বিস্ময়কর ঘটনা

ঈসা (আ.)-এর বিনা-পিতায় জন্মগ্রহণের বিষয়টি নিঃসন্দেহে একটি মু’জেযা (ঐশী নিদর্শন) ছিল। তবে, আহমদী মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, মু’জেযা বা ঐশী নিদর্শনাবলী সর্বদা আল্লাহ্‌ তা’লার নিয়মানুসারে ঘটে থাকে, সে-সব নিয়ম-কানুন আমরা যত কমই অনুধাবন করি না কেন। আধুনিক বিজ্ঞান সবে মাত্র এই অতি বিরল প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কে গবেষণা শুরু করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, নিম্ন-পর্যায়ের জীব-জন্তুর ক্ষেত্রে বিনা-পিতায় জন্মগ্রহণের দৃষ্টান্ত লক্ষ করা গেছে, যা প্রাণি-বিজ্ঞানীদের বিস্ময়ের কারণ ছিল। এমনকি মানুষের মাঝেও বিনা-পিতায় গর্ভধারণের উল্লেখ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত ও ইতঃস্ততভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। অবশ্যই, এ বিষয়ে গবেষণা চলছে এবং এসব ঘটনার উল্লেখ এখানে করা হচ্ছে শুধুমাত্র এটি প্রদর্শনের জন্য যে, একসময়ে যা অসম্ভব বলে বিবেচিত হত, সেটা প্রকৃতপক্ষে সম্ভবপর হতে পারে।